গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষ বন্ধ ও স্থায়ী শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে ২০ দফার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী সেখানে একটি অস্থায়ী প্রশাসন গঠন করা হবে, যেটিতে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব দেশগুলো অংশগ্রহণ করবে এবং প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প—অন্তর্বর্তী দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে এটি।

এই প্রশাসনের অধীনে গাজায় থাকা নাগরিকদের প্রবাসে পাঠানোর কোনো জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না; তারা তাদের ভূমিতেই অবস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে ইসরায়েল গাজা দখল করবে না এবং উপত্যকাটির পুনর্গঠন ও অবকাঠামো পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে—হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষ এই শর্তগুলো মানলে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং সংঘাত সমাপ্তির দিকে এগোবে। বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় হামাসের সুড়ঙ্গ ও অপারেশনাল কাঠামো ধ্বংস করে সংগঠনকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে, যাতে পরবর্তীতে সহিংসতা পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আরব দেশগুলো এই নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করবে—তারা ব্যর্থ হলে ইসরায়েল নিজে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, এমনটিই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন যে হামাসের ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির ওপর ভিত্তি করেই গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আরম্ভ করা হবে। যার ফলে বন্দিদের মুক্তি এবং নিরস্ত্রীকরণের সমন্বয়ে শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে—এবং যুক্তরাষ্ট্র এই পুরো উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন দেবে। কর্তৃপক্ষ জানানোর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

ঠিক কবে ও কীভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে—তার সময়সূচি ও বিস্তারিত কার্যপ্রণালী এখনও স্পষ্ট হয়নি; আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশীদারদের প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় পরিস্থিতি অনুসারে এগুলো চূড়ান্ত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ