বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখলো মেয়ে!

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল সীমান্তে শূন্যরেখায় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা এক মেয়ে ও তাঁর স্বজনেরা শেষবারের মতো ভারতের নাগরিক জব্বার মণ্ডলের মরদেহ দেখতে পান। বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।

৭৫ বছর বয়সী জব্বার মণ্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মেয়ে রিতু মণ্ডলসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে, যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গ্রামে বসবাস করেন। মরদেহ দেখানোর পর সেটি নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে এবং দাফন সম্পন্ন করা হয়।

বিজিবির সূত্র জানায়, বার্ধক্যের কারণে মঙ্গলবার মারা যান জব্বার মণ্ডল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে থাকা স্বজনেরা মরদেহটি শেষবারের মতো দেখার আবেদন করেন। বিএসএফ সেই আবেদন বিজিবির কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের সময় মরদেহটি সীমান্তের শূন্যরেখায় আনা হয় এবং স্বজনদের শেষবারের মতো দেখানো হয়।

এই পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো. সেলিম মিয়া এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসি সঞ্জয় কুমার রায়। বৈঠক শেষে মরদেহ ফেরত নেওয়া হয় ভারতে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, সীমান্ত এলাকায় কেউ মারা গেলে এবং উভয় দেশে তাঁর আত্মীয়স্বজন থাকলে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়। জব্বার মণ্ডলের ক্ষেত্রেও সেই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ